শীতকে আগমন জানাতে,গরম পোশাকে নরম মেজাজে একটা ছবি দিলাম ফেসবুকে।
শীতকালে,শীতের পোশাকে একটি ছবি ফেসবুকে না দেয়ার অর্থ ভাললাগার অপূর্ণতা।
আজও মনে হয় সূর্যি মামা, শীতের আচলে নাক ঢেকে ঘুমাবে।
শীত কে বলি এসো না, কারন বউ নাই,তাই ওই রাতে কম্বল যে গরম হতে চায় না😀
শীত আসলেই হয়ে যাই নস্টালজিক, গ্রামের সেই পিঠাপুলি, আরও নানান পিঠার ছড়াছড়ি। উনুনে বা আগুন জ্বালিয়ে মিলত স্বস্তি। আর আগুনে পুড়িয়ে শাপলার-শালুক ছিল,আরেক মাতামাতি। চড়ই-ভাতও খেতাম মিলেমিশে, খুশিতে মন আর দেহটাও দিতো ফালাফালি। খেজুর রস মিলে গেলে,হয়ে যেতাম আহ্লাদী, রসে ভেজানো পিঠা খেয়ে,মন হত ফুরফুরি। স্কুল থাকতো বার্ষিক ছুটি, নিজেকে মনে হতো নাটাই ছাড়া ঘুড়ি। আর মামা বাড়ি যেতাম সেই ভোর-কুয়াসায়, মন আর দেহও নেচে উঠত ঢেড় বেশি।
এখন শীতের আগমন মানেই গ্রাম আর শহর জীবনে পাল্লা চলে ভাপা পিঠায় গুড়ের মিষ্টতার সাথে নারিকেলের কম্বিনেশনে, জিহ্বার আনন্দ উৎসব। আরও আছে নানা স্বাদের ভর্তার আয়োজনে, চিতই পিঠার গভীর আবেগ। ঝাল আর ঝাঁঝালো ভর্তার দেমাগে, গায়ের শীত পালায় কিছুটা অবসরের খোঁজে। খুব ভোরে আর সন্ধার আড্ডা হয় চায়ের প্রিয়তায়, মনে দারুণ জোস,গায়ের শীত নিখোঁজ আর আড্ডাটাও হয় জমপেশ।
শীতের রাতের মজা নাকি কাপাকাপির সাজা😀কোনটা??
শীতের শুভ্রতা ই নয়,তার আদ্রতাও ভাল লাগে। কারন পন্ডস বা অন্য ক্রিম নয় গ্লিসারিন আমায় উজ্জ্বল করে😀
শীত মানে কম্বলের প্রশান্তি, বিবাহিত হলে বউয়ের দ্বারা শান্তি 😀 সিঙ্গেল হলে,পার্টনারবিহীন ঠান্ডায় কাপাকাপি।
কুয়াশামাখা নরম আলোর ঠান্ডা দিনে।
কীরে ভাই!সূর্যি মামার উদয় হতে, আর তাপ দিতে কী চিঠি পাঠানো লাগবে নাকি! না চিঠিতে মামার মন পাবোনা,মর্ডান যুগে। বরং ওয়্যাটসআপে একটা ভিডিও কল করি।
এই শীতে পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দেন কেউ😌☺️
ঘন বর্ষার ন্যায় তীব্র শীতও সবার জীবনে আনন্দ বা উচ্ছ্বাস বয়ে আনে না। কনকনে শীতে,রাস্তার-ফুটপাতের মানুষের তীব্র কষ্টের পাশাপাশি। অনেক কথিত সুশীলদের সো অফেরও জুড়ি মেলা ভার। তবে,যাদের উদ্দেশ্য সৎ, সেসব মানুষদের সালাম🫡
কথায় আছে,মাঘের শীত বাঘের গায়। আবার বলা হয়,মাঘের শীতে বাঘ পালায়। পরিস্থিতি এমন দেখছি, মাঘের শীতে মেয়েদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছেলেদেরও গোসল পালাচ্ছে 😀 তবে,গোসল পালানোর পাল্লায়, মেয়েরাই মনে হয় ফাস্ট হয় সবসময়😀নাকি!!
শীতের আগমন তাই, শীতের পোশাকে একটু দিলাম পোজ।
আমার কাছে শীতের সকাল সবচেয়ে দারুণ, সবচেয়ে প্রিয়। প্রকৃতি যেন সাজে কুয়াশাকে বিয়ে করে, তাকে খুব গায়ে জড়িয়ে😊 শীতের বিকেল নিয়ে আসে এক হ্রাস আদ্রতার আহ্লাদ। আর গাছের পাতাগুলোও যেন ঝরে পরার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে। পরে যাওয়া পাতা দেখতে আরেক ভাললাগা I
শীত মানেই বড় রাত,বড় ঘুমের ঘনঘটা। আর সকাল বেলায়,ঘুম থেকে ওঠার অলসতা।
শীতের সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন, নয়নাভিরাম দৃশ্য যদি আপনি মিস করেন। তাহলে মনে হয়,আপনি ঠকালেন নিজেকে, এক গভীর ভাললাগা না পাওয়ার দ্বারা।
শীতের রাতের কুয়াশাচ্ছন্ন ফজরে, মুসলিম সালাত আদায়কারীগণ, ততটাই আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, যতটা তারা ঘুমকে হারিয়ে দিয়ে, হিমশীতল পানির সাথে যুদ্ধ করে সালাতে উপস্থিতি জানায়, ঈমানের তাড়নায়,রবের জন্য, একজন আল-ক্বাহারالقهار এর ভয়ে।
(আল-ক্বাহারالقهار অর্থ কঠোর, মহাপ্রতাবশালী, দমনকারী )
যদিও,আল্লাহ রহিম এবং রহমানও বটে। পরম করুনাময়,দয়ালু, ক্ষমা প্রদানকারীও।
শীতের কুয়াশা,মিষ্টি রোদের সকাল,খেজুর রস, মাঝেমধ্যে সূর্যি মামার আড়ি আর তার দুষ্টু লুকোচুরি, তারপর স্নিগ্ধ বিকেল, চমৎকার সন্ধা,পিঠাপুলি,ভাপা,চিতই, এরপর শীতের রাতে গরম লেপ-কম্বল জড়িয়ে শরীরকে উষ্ণ হওয়ার পরে, স্বপ্নকে সাথী করে দারুণ ঘুমের ঘোরে পারি দেয়া, আর হরেকরকমের স্টাইলিশ জামা,জুতা, পরিধেয় বস্ত্র দ্বারা নিজেকে সাজানো। শীতের এই সবকিছুই দারুন উপভোগের।
শীতকাল তার নিজ রূপ-গুণে অনন্য। শীতকাল মানেই ভাললাগার এক নতুন আমেজ।